এই পোকা তার অনুকূল পরিবেশ পেলে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ধানের ফলনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।



ছাত্ররা পোকার ক্ষতির লক্ষণঃ
- গাছের কান্ড ও পাতার খোলের মধ্যবর্তী স্থানে একত্রে অধিক সংখ্যক থাকায় সাদা মোমের মত দেখা যায়।
- আক্রমণ তীব্র হলে গাছের শিষ বের হয় না। এছাড়া কোনো কোনো জায়গায় ধান গাছ বসে যায়।
- গাছের কান্ড ও পাতার খোলের মধ্যবর্তীস্থানে একত্রে অধিক সংখ্যক থাকায় সাদা মোমের মত দেখা যায়। আক্রমণ তীব্র হলে গাছে শিষ বের হয় না।
- ছাতরা পোকা বেগুন গাছের পাতার বোঁটা এবং কচি ডগার রস চুষে খায়।
- এর দেহ থেকে মধু জাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং আক্রান্ত অংশে কালো ছাতা বা শুটি মোন্ড ছত্রাকের আক্রমন হয়।
- গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয় এবং কোন ফুল/ফল ধরে না। অনেক সময় পাতা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে গাছ মারা যায়।
ছাত্ররা পোকার আক্রমণের পর্যায়ঃ কুশি।
ছাত্ররা পোকা ফসলের যে অংশে আক্রমণ করেঃ কাণ্ড, পাতা।




ছাত্ররা পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করেঃ পূর্ণ বয়স্ক।
ছাত্ররা পোকার আক্রমণ কি কারণে হয়েছেঃ
এরা উষ্ণ বা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠে। উষ্ণ এবং শুকনো আবহাওয়ায় এদের জীবনচক্র যথাযথভাবে চলতে থাকে এবং এদের আক্রমণের ফলে উপসর্গের তীব্রতাও বাড়তে থাকে।
ছাত্ররা পোকার দমন ব্যবস্থাপনাঃ
ছাত্ররা পোকার জৈবিক দমনঃ
- প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছিঁড়ে ফেলা।
- সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিমের গাদা বা পোকা ধ্বংস করা।
ছাত্ররা পোকার রাসায়নিক দমনঃ
- আক্রমণ বেশি হলে গাছে সরকার অনুমোদিত বালাইনাশক যেমন- ফেনিট্রথিয়ন, ডায়মেথয়েট, কার্বারিল, কুইনালফস, ক্লোরপাইরিফস+সাইপারমেথ্রিন জাতীয় বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রা ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন।
সাবধানতাঃ
- বালাইনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, একই গ্রুপের বালাইনাশক একই পোকা দমনের জন্য পর্যায়ক্রমে প্রতি মৌসমে ব্যবহার না করে বিভিন্ন গ্রুপের বালাইনাশক ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
- জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
- ফসল কাটার পর জমির নাড়া পুড়িয়ে ফেলা।
+ There are no comments
Add yours